কক্সবাজারের কলাতলীতে পরিত্যক্ত একটি হ্যাচারীতে বশির আহমেদ নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১০ আগষ্ট) রাত ১২ টা দিকে দক্ষিণ কলাতলি মেম্বার ঘাটা নামক জায়গায় পরিত্যক্ত সীমুজি হ্যাচারিতে লাশটি দেখতে পায় স্হানীয়রা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে কপালে গুলিবিদ্ধ মরদেহটি উদ্ধার করলে স্হানীয়দের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে।
নিহত বশির আহমদ কুমিল্লা বড়ুরা থানার বাসিন্দা আবু তাহের ছেলে। কিন্তু তিনি কক্সবাজার শহরে কলাতলিতে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
ঘটনাস্থলে কান্নারত নিহত বশির আহমদের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানান, ” স্হানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই আমার স্বামীকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।”
স্হানীয় একটি সুত্র বলছে, বশিরের খুচরা মাদক (গাঁজা) বিক্রির সাথে সম্পৃক্ততা ছিলো। তার দেহ পড়েছিল মাদকাসক্তদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত পরিত্যক্ত এবং নির্জন একটি জায়গায়।
ঐ জায়গায় প্রতিরাতে বসে মাদকের আসর। তাই ধারণা করা হচ্ছে মাদক বেচাকেনা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে।
তবে মাদকের বিষয়টি সামনে আসলেও স্হানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বশিরের পরিবারের স্বজনদের দাবি, সাগর থেকে পোনা আহরণ করে জীবন জীবিকা চালানো বশির মাদক কিংবা অবৈধ কার্যকলাপের সাথে কখনো জড়িত ছিলেন না।
পুলিশ এবং সিআইডি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে।
পাঠকের মতামত